বাড়তি ওজন সবার জন্যই অস্বস্তির বিষয়। কারণ, বাড়তি ওজন কাজেকর্মে স্থবরিতা তো আনেই; উপরন্তু এর কারণে শরীরে দেখা দেয় নানা জটিলতা। তাই বড়তি ওজনওয়ালাদের একটা চিন্তাই সবসময় মাথায় থাকে, তাহলো ওজন কমাতে হবে। কিন্তু বললেই তো আর তা হয়ে যায় না। এ জন্য চাই পরিমিত ব্যায়াম ও কায়িক পরিশ্রম। কম ওজনের সুফলতা নিয়ে বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল নিশ্চয় বাড়তি ওজনওয়ালাদের পরিমিত ব্যায়াম ও কায়িক পরিশ্রমের প্রতি উদ্বুদ্ধ করবে। বিশেষ করে যাদের স্মৃতিশক্তির স্থায়িত্ব নিয়ে ভাবনার শেষ নেই, তাদের জন্য বিজ্ঞানীদের এ গবেষণা হবে বাড়তি পাওয়া।বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, ওজন কমলে একাগ্রতা ও চিন্তাশক্তি বাড়ে। কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জন গানস্টাড-এর নেতৃত্বে একদল গবেষক মানুষের ওজন কমানোর সঙ্গে স্মৃতিশক্তির সম্পর্ক বিষয়ক এ গবেষণা করেন। গানস্টাড বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে এ গবেষণা চালাই। গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের অতিরিক্ত মেদ বা ওজন মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলছে এবং তা স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের একাগ্রতায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। যদিও এর আগে আমরা জানতাম, অতিরিক্ত মেদ বা ওজন আলঝেইমার্স কিংবা স্ট্রোকের কারণ। তিনি বলেন, অতিরিক্ত ওজন শরীরিক এসব সমস্যা কেবলই বাড়ায়। তাই ওজন কমানোই হতে পারে এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ।
গানস্টাড বাড়তি ওজনওয়ালা অন্তত ১৫০ ব্যক্তির স্মৃতিশক্তির ওপর তার গবেষণা পরিচালনা করেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ওজন কমানোর জন্য বাইপাস সার্জারি করা হয়েছিল এবং এদের ক্ষেত্রে আশাতীত সাফল্য পাওয়া গেছে মাত্র ১২ সপ্তাহেই। দেখা গেছে, তাদের স্মৃতিশক্তির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে এসময়ের মধ্যে। ডাক্তারি ভাষায় তাদেরকে ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী বলা হয়। সার্জারির আগে এদের ২৩.৯ শতাংশের ক্ষেত্রে দুর্বল শিক্ষণীয় ক্ষমতা ও ২২.৯ শতাংশের মধ্যে সামান্য স্বীকৃতিযোগ্য স্মৃতিশক্তি লক্ষ্য করা গেছে। অথচ সার্জারির মাত্র ১২ সপ্তাহেই একাগ্রতা পরীক্ষায় এদের উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে আশ্চর্যজনকভাবে।
[সূত্র : এবিসি নিউজ ও বেঙ্গলি টাইমস ডট সিএ ।
হুমমম..... কম খাওয়া ভালো.....
উত্তরমুছুনআমাদের সবসময় কম খাওয়াই উচিত। তাহলে স্মৃতিশক্তি ঠিক থাকবে। ব্লগার মারুফ
উত্তরমুছুন